আওয়ামী লীগ কি আমেরিকার নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত?
আওয়ামী লীগ কি আমেরিকার রাজনীতি বা নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত? না। মার্কিন মুল্লুকে ডেমোক্রেট আসুক কিংবা রিপাবলিকান আসুক, আওয়ামী লীগ কিংবা শেখ হাসিনার কিছু যায় আসে না। তবে উল্টোদিকে শেখ হাসিনার বিরোধী পক্ষের অনেক কিছু যায় আসে। এই বিরোধীপক্ষে এখনকার খলিফা সুদখোর ইউনূস কেবলমাত্র শেখ হাসিনার সাথে ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে তার বান্ধবী হিলারিকে ব্যবহার করে পদ্মা সেতুর ঋণের বন্ধ করে দেয়। যদিও শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করে ইউনূসের ষড়যন্ত্রকে সে যাত্রায় পরাজিত করেন।
এই ইউনূস তার বান্ধবী হিলারির জন্য এমনকি মার্কিন নির্বাচনেও বাংলাদেশ থেকে উপার্জিত টাকা খরচ করে। এই খরচ ঢালতে ঢালতে হিলারির আরেক বন্ধু ডো বাইডেনের শাসনামলে ডোনাল্ড লু-পিটার হাসের ষড়যন্ত্রে ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে ঘোষণা দেওয়া মেটিকিউলাস প্ল্যান সাজিয়ে বাংলাদেশে একটি গনতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে জবরদস্তিমূলক ক্ষমতা দখল করে নেয়। সুতরাং আওয়ামী লীগ মার্কিন কোন দলের মুখাপেক্ষী নয়, এই ইউনূস মার্কিন একটি পক্ষের সেবাদাস।
ইউনূসের হিলারি-ক্লিনটন-বাইডেন-ওবামা সিন্ডিকেটে যে তোষামোদি এতে ব্যাপা বিরক্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প।
২০১৬ সালে মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পূর্বে ডঃ ইউনুস সরাসরি তার বান্ধবী হিলারির পক্ষ নিয়ে ট্রাম্পকে বলেছিলেন, "সেতু তৈরি করুন, দেয়াল নয়"। এমনকি হিলারির নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে প্রচুর পরিমাণ ডলার গিফট করেন তিনি।
ট্রাম্প নির্বাচন জেতার পর ডঃ ইউনূস তখন বুকভরা কষ্ট নিয়ে বলেছিলেন, "ট্রাম্পের এ জয় বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ, গনতন্ত্র ও বিশ্বশান্তির জন্য হুমকিস্বরূপ। আজকে একটি অন্ধকারছন্ন দিন। তবে সূর্যগ্রহণের মতো এই অন্ধকার শীঘ্রই কেটে যাবে"।
ট্রাম্প ডঃ ইউনূসের এই লাফালাফি দেখে ২০১৯ সালে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কিছু বাংলাদেশি ডেলগেটদের জিজ্ঞেস করেছিলেন, “Where is the micro finance guy from Dhaka?..I heard he donated to see me lose” (ঢাকার ওই মাইক্রো ফাইন্যান্স লোক কোথায়?... শুনেছি সে আমাকে হারানোর জন্য হিলারিকে টাকা দিয়েছিলো)
সুতরাং ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচিত হলে ডঃ ইউনূসের অনেক কিছু যায় আসে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার কিছু যায় আসে না কারন তাদের শক্তি বাংলাদেশের জনগন।