স্থানীয় হোটেল কর্তৃপক্ষ আর জেলা প্রশাসন বলছে, ‘ গত দু’দিনে প্রায় চার থেকে পাঁচ লাখের মতো মানুষ পর্যটন শহরটিতে অবকাশ যাপনে গেছেন।’এখানকার ৪০০-এর বেশি হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস, কটেজ ও রিসোর্টগুলো পর্যটকে কানায় কানায় পূর্ণ।হোটেল কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘এবার ব্যবসা হয়েছে খুবই ভালো।’ শুধু হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস, কটেজ কিংবা রিসোর্ট নয়। জমজমাট ব্যবসা সৈকত এলাকার বার্মিজ মার্কেটগুলোতেও। ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় এখানে। বিশেষ করে বার্মিজ আচার, বাদাম, শামুক-ঝিনুকের ঘর সাজানোর উপকরণ এবং শুটকিসহ নানা পণ্যের কেনাবেচায় সরগরম দোকানগুলো।
রিসোর্ট মালিক ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা বলছেন, ‘কক্সবাজারে পর্যটন সংশ্লিষ্ট খাতে দৈনিক দেড় শ’ কোটির টাকার ব্যবসা হচ্ছে।’ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘বিশ্বের দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার ও প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে দৈনিক বেড়াতে আসছে শোয়া লাখেরও বেশি পর্যটক। বিশেষ করে সপ্তাহের অন্যান্য দিনের চেয়ে শুক্রবার ও শনিবারসহ সরকারি ছুটির দিনে কোথাও তিল পরিমাণ ঠাঁই ছিল না সবখানেই ভরপুর পর্যটক।’
কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। বেশিভাগ পর্যটকরাই আগে থেকেই হোটেলে রুম বুক না করেই চলে আসে। যার কারণে এ ধরনের একটা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হয়। আগে থেকে যদি রুম বুক করে আসতো বা যারা রুম পায়নি তারা যদি না আসতো, কিংবা পরে আসতো তাহলেই আর এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হতো না। বিশেষ করে বন্ধের দিন শুক্রবার ও শনিবার টানা ছুটিতে হোটেল-মোটেল কিংবা রিসোর্টে জায়গা না পেয়ে সৈকত, মসজিদ, রাস্তায় খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন পর্যটকরা।
পর্যটন শিল্পের সংশ্লিষ্টদের মতে, ছুটির দিনে ভ্রমণ না করে ভ্রমণের জন্য ছুটি নেয়া উচিত। তা না হলে চরম হতাশাজনক, ভোগান্তির মধ্যে পড়তে পারেন। হোটেল বুকিং নিশ্চিত করে না এলে গাড়ি থেকে নামার সাথে সাথে অটোওয়ালা বা দালাল চক্রের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আজে-বাজে হোটেলে নিয়ে গিয়ে ফাঁদে ফেলছে তথ্য এসেছে উপকূল টাইমসে।সপ্তাহিক ও সরকারি ছুটিতে পর্যটকে ভরপুর কক্সবাজার। হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসগুলো শতভাগ বুকড। এতে বিগত সময়ের লোকসান পুষিয়ে নিতে পারবে বলে মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ভ্রমণপিয়াসুরা জীবন থেকে কিছুটা প্রশান্তির আশায় পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকেই আসছেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ বিভিন্ন পর্যটন গন্তব্যে। এতে কক্সবাজারের পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব ব্যবসায় ফিরেছে চাঙ্গাভাব। সড়ক পথ ও আকাশপথের পর রেলপথযুক্ত হওয়ায় পর্যটনে খুলেছে নতুন দুয়ার। বিশেষ করে পর্যটকদের বিশেষ চাহিদা থাকায় ঢাকা-কক্সবাজার রোডে নিয়মিত ট্রেনের পাশাপাশি চালু করেছে পাঁচ দিনের জন্য বিশেষ ট্রেন। অনেকেই দীর্ঘদিন পর শুধুমাত্র ট্রেনের কারণেই কক্সবাজার এসেছেন। সব মিলিয়ে প্রাণ ফিরে এসেছে পর্যটনে। সাতক্ষীরা শ্যামনগর থেকে আসা জিন্নাহ ও তার নববধূ সমুদ্রপাড়ে একে অপরের হাতে হাত রেখে বালিয়াড়িতে বালিয়াড়িতে হাঁটছেন। জীবনের প্রথম হানিমুনের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে তারা পর্যটক শহর কক্সবাজারে এসেছেন। তাদের মতো এভাবে সমুদ্রের বিশালতার মাঝে মন মাতাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন অনেকেই।
স্থানীয় হোটেল কর্তৃপক্ষ আর জেলা প্রশাসন উপকূল টাইমসকে বলছে, ' মার্চের ১ তারিখ থেকে শুরু করে গত দু’দিনে প্রায় চার থেকে পাঁচ লাখের মতো মানুষ পর্যটন শহরটিতে অবকাশ যাপন করে গেছেন।’এখানকার ৪০০-এর বেশি হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস, কটেজ ও রিসোর্টগুলো পর্যটকে কানায় কানায় পূর্ণ। হোটেল কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘এবার ব্যবসা হয়েছে খুবই ভালো।’
শুধু হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস, কটেজ কিংবা রিসোর্ট নয়। জমজমাট ব্যবসা সৈকত এলাকার বার্মিজ মার্কেটগুলোতেও। ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় এখানে। বিশেষ করে বার্মিজ আচার, বাদাম, শামুক-ঝিনুকের ঘর সাজানোর উপকরণ এবং শুটকিসহ নানা পণ্যের কেনাবেচায় সরগরম দোকানগুলো।রিসোর্ট মালিক ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা বলছেন, ‘কক্সবাজারে পর্যটন সংশ্লিষ্ট খাতে দৈনিক দেড় শ’ কোটির টাকার ব্যবসা হচ্ছে।’
পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘বিশ্বের দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার ও প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে দৈনিক বেড়াতে আসছে শোয়া লাখেরও বেশি পর্যটক। বিশেষ করে সপ্তাহের অন্যান্য দিনের চেয়ে শুক্রবার ও শনিবারসহ সরকারি ছুটির দিনে কোথাও তিল পরিমাণ ঠাঁই ছিল না সবখানেই ভরপুর পর্যটক।’
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘সাপ্তাহিক ছুটির দিন, একুশে ফেব্রুয়ারি, পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে পর্যটকে পরিপূর্ণ অবস্থায় ছিলো পুরো কক্সবাজার। কলাতলিতে হোটেল ওয়াল্ড বিচে পর্যটকদের চাপ কেমন ছিল জানতে চাইলে ইনচার্জ মামুন যে বর্ণনা দেন সেটা অনেকটা এমন-তিনি রাস্তায় এবং বিচের খোলা জায়গায় অনেক পর্যটককে রাত কাটাতে দেখেছেন।