চার লেনের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক এখন সময়ের দাবি: এফবিসিসিআই সভাপতি
পর্যটনে প্রবৃদ্ধি ও ব্যবসা-বাণিজ্যে গতিশীলতা নিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ককে এক্সপ্রেসওয়েসহ চার লেনে উন্নীত করার দাবি জানিয়েছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম।গতকাল শুক্রবার রাতে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও মতবিনিময় সভায় মাহবুবুল আলম এই দাবি জানান। এ সময় তিনি বলেন, চার লেনের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে এখন সময়ের দাবি। উন্নয়নের জন্যই এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা দরকার।
কউক ভবনের মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের শহর কক্সবাজারকে আধুনিক ও স্মার্ট পর্যটন নগরীতে রূপান্তর করতে কউকের পক্ষ থেকে যে পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়েছে, তার দ্রুত বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারকে দক্ষিণ এশিয়ার একটি বাণিজ্যিক হাব হিসেবে গড়ে তোলার যে পরিকল্পনা নিয়েছেন, কউকের পরিকল্পনা তার পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে। দ্রুততম সময়ে পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করা না গেলে অর্থনৈতিক সম্ভাবনার যে দ্বার খুলে যাচ্ছে, তার সুফল লাভ করতে ব্যর্থ হবে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এফবিসিসিআই ও ব্যবসায়ী মহল থেকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষ এর চেয়ারম্যান কমডোর মোহাম্মদ নুরুল আবছার (অব.) ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে ৪০ হাজার কোটি টাকার ৩৪ প্রকল্প উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে ৮৪ কিলোমিটারের কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ এবং কক্সবাজার থেকে সাগর বেষ্টিত পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালীতে কেব্ল কার চালু, পর্যটকদের জন্য সিনেপ্লেক্স, অ্যামিউজম্যান্ট ওয়ার্ল্ড, সি অ্যাকুয়ারিয়াম, গলফ ক্লাব, ইকোরিসোর্ট, হেলথ কমপ্লেক্স, ক্রুজ লাইনার ও সি প্লেন চালুকরণ, ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার নির্মাণ, মহেশখালী, খুরুশকুল, চৌফলদণ্ডী ও সাবরাং সৈকতে আবাসন প্রকল্প, পরিবেশবান্ধব ট্যুরিজমপল্লি প্রভৃতি।
মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। ইতিমধ্যে ২২টি প্রকল্পের ডিপিপি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। কউকের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নে সরকারের পাশাপাশি বিনিয়োগ নিয়ে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী মহলের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।