চবির বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সমন্বয়হীনতা, অভিভাবকদের উদ্বেগ
প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা বিভাগীয় শহর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া চবিসহ আরও ৫ টি কেন্দ্রে ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তি কমানোর জন্যেই বিভাগীয় শহরে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু অভিভাবকদের কাছ থেকে শুনা যাচ্ছে ভিন্ন কথা। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়হীনতায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাগুলো একদিন পর পর অনুষ্ঠিত হওয়ায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে তারা জানিয়েছেন।
ঢাকা থেকে আসা পরীক্ষার্থী অজিত কুমার বলেন, একদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে, আজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে। বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সমন্বয় করে যদি ১ সপ্তাহ ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে দিত, তাহলে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে কষ্ট কম হত। আমি রাত ২.৪৫ মিনিটে জি.সি মোড় নেমেছি, নামার পর বাস, সিএনজি পাচ্ছি না, ভাটিয়ারী দিক দিয়ে আসতে দিচ্ছে না, কদমতলী হয়ে ঘুরে আসতে হয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, তারা যেন ভর্তি পরীক্ষার সময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে সমন্বয় করে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করেন।
এ বিষয়ে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান বলেন, চবির ভর্তি পরীক্ষা এবারই প্রথম বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমবার হিসেবে আমরা ঢাবি ও রাবিতেই পরীক্ষা নিয়েছি। এতে আমাদের অভিজ্ঞতা হয়েছে। আগামীবছর থেকে পরীক্ষার কেন্দ্র আরও বাড়ানো হতে পারে। যাতে পরীক্ষার্থী যেই কেন্দ্রে ইচ্ছুক সেখানেই পরীক্ষা দিতে পারে।