পেকুয়ায় গভীররাতে যুবককে কুপিয়ে জখম
পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজারের পেকুয়ায় বাড়ি ফেরার পথে গভীররাতে ফরহাদ খান টিপু (৩৪) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মগনামা ইউনিয়নের বাজারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। টিপু বাজারপাড়া এলাকার আবু তালেবের ছেলে।
স্থানীয় লোকজন তাকে মুমুর্ষবস্থায় উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) রেফার করা হয়েছে।
ফরহাদ খান টিপুর বড় ভাই সোহেল আজিম বলেন,কর্মসৃজন প্রকল্পের একজন শ্রমিকের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানোর ব্যবস্থা করে পেকুয়া চৌমুহনী থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন টিপু। তখন প্রায় রাত ১২টা। এর আধাঘন্টা আগে মুঠোফোনে তার সাথে আমার কথাও হয়। মগনামা বাজারপাড়া বায়তুর জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছলে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা নুর মুহাম্মদ মাদু, লোকমান হাকিম, নোমান উদ্দিন, আবদুল খালেক, নেজাম উদ্দিন, ফায়সাল, জয়নাল, কায়সার, নুরুচ্ছফি,খোকনসহ ১০-১৫ জনের সংঘবদ্ধ দল তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্বক জখম করে। পরে মৃত ভেবে তাকে পাশের একটি খালের ধারে ফেলে দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন টিপুকে দেখতে পেয়ে পেকুয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসে।
তিনি আরো বলেন, টিপু মগনামা ইউপির চেয়ারম্যান ইউনুস চৌধুরীর একান্ত সচিব। সম্প্রতি আমার ভাইকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল একটি চক্র। হামলাকারীরা সকলেই সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াসিমের অনুসারী।
মগনামা ইউপির চেয়ারম্যান মো.ইউনুস চৌধুরী বলেন, টিপু আমার একান্ত সচিব। বাড়ি যাওয়ার পথে রাতে তার উপর হামলা হয়েছে। তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে।
স্থানীয় কয়েকজন লোক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আপন চাচাদের সাথে টিপুর জমি নিয়ে বিরোধ আছে। এছাড়া সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াসিমের সাথেও তার দ্বন্ধ আছে। হামলাকারীরা আবার ওয়াসিমের অনুসারী। সব মিলিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যারচেষ্টা চালানো হয়েছে।
ঘটনার পরেই অভিযুক্তরা আত্নগোপনে থাকায় ও মোবাইল সংযোগ বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তবে অভিযুক্ত নুর মুহাম্মদ মাদুর স্ত্রী পরিচয় দিয়ে লাভলী নামের একজন মহিলা বলেন, এলাকায় কাক মরলেও মাদুর নাম আসে। ঘটনার বিষয়ে আমরা কিছু জানিনা।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন,পুলিশ পাঠিয়েছি।বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।