পেকুয়ায় বনবিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাটি বিক্রির অভিযোগ
পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজারের পেকুয়ায় খোদ টইটং বনবিট কর্মকর্তা জমির উদ্দিনের বিরুদ্ধে পাহাড়ের মাটি বিক্রির অভিযোগ ওঠেছে। গভীররাতে স্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে ডাম্পারযোগে মাটি বিক্রি করে আসছে কয়েকদিন ধরে তিনি। সোমবার সকালে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে মামলার হুমকিও দেন ওই কর্মকর্তা। এনিয়ে স্থানীয় লোকজন ও বনবিট কর্মকর্তার মধ্যে দ্বন্ধ চরম আকার ধারন করে। বিটকর্মকর্তা ও স্থানীয় লোকজনের মধ্যে হট্টগোলের খবর পেয়ে দুপুরের দিকে বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুল হক,ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী ও পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানাগেছে,টইটং ইউপির কেরণছড়ি শামসু চৌকিদারের বাড়ি থেকে পলির ছড়া ব্রীজ হয়ে বনকানন বাজার পর্যন্ত প্রায় তিনশো মিটার সড়কের এইচবিবি দ্বারা উন্নয়ন কাজ চলছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কাজের বাস্তবায়ন করছে।
গত কয়েকদিন ধরে সড়কে ইট বসানোর জন্য মাটি কেটে বক্স তৈরি কাজ চলছে।
অভিযোগ ওঠেছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জের টইটং বনবিট কর্মকর্তা জমির উদ্দিন সড়কের পাশে স্তুুপ করে রাখা মাটি বিক্রি করে দিয়েছে। এছাড়া গভীররাতে স্কেভেটর দিয়ে কেরণছড়ি স্টেশন সংলগ্ন জায়গা থেকে মাটি বিক্রি করে পকেটভারী করছে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, বিটকর্মকর্তা জমির উদ্দিন বেপরোয়া। টাকা পেলে তার জন্য সবকিছু জায়েজ। বনবিট কার্যালয়ের একশো গজের মধ্যে রিজার্ভ ভুমির মাটি বিক্রি করে দিয়েছেন।সড়কের পাশে স্তুপ করা মাটিও তার ছোবল থেকে রক্ষা পায়নি। গাড়ি ভর্তি মাটি বনবিট কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাচ্ছে। অথচ সে বলছে কিছু জানেনা। আমরা তার কাছে অসহায় ও জিম্মি। প্রতিবাদ করলে মামলার হুমকি দেন তিনি।
এবিষয়ে টইটং বনবিট কর্মকর্তা জমির উদ্দিন বলেন,আমি মাটি বিক্রি করিনি। শুনেছি কে বা কারা গভীররাতে মাটিগুলি গাড়ি করে নিয়ে গেছে। সকালে কেরনছড়ি এলাকায় গেলে এলাকার কিছু লোকজন আমাকে হেনস্তা করে। প্রাননাশের হুমকি দেয়।
রেঞ্জ কর্মকর্তা মো.হাবিবুল হক বলেন, আমার অফিসার এসবের কিছুই জানেনা। মাটি নিয়ে গেছে এর সত্যতা পেয়েছি। তবে বনবিট কর্মকর্তাকে হুমকি দিয়েছে এলাকার কিছু লোক। এবিষয়ে আমরা আইনি পদক্ষেপ নিব।
টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন,শুনেছি আমার নাম ভেঙে নাকি মাটি নিয়ে গেছে। লোকজনকে বলেছি গালি দিলে আমাকে দে। বিট কর্মকর্তাকে দোষারোপ করোনা। বিটকর্মকর্তা জমির উদ্দিন ভালো মানুষ। এসবে সে জড়িত থাকতে পারেনা।