আরাকানের সংঘাত নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ দীর্ঘ আলোচনা
ভারত সফরে গিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মিয়ানমারের আরকান রাজ্য নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান। রাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, একাধিক বিষয় নিয়ে দুই দেশের আলোচনা হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে মিয়ানমার সংকট। বস্তুত, সম্প্রতি বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের সেনার সঙ্গে বিদ্রোহীদের তীব্র লড়াই চলছে। বেশ কিছু সেনা সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। কীভাবে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে তা নিয়ে মিয়ানমারের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। সার্বিকভাবে মিয়ানমার সংকট কীভাবে কাটানো যায়, তা নিয়েও দুই দেশ ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে বলে মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন। যদিও এবিষয়ে ভারতের তরফে এখনো কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, গত সাত বছর ধরে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে বসবাস করছেন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ৩৫ হাজার শিশু। বাংলাদেশেই যাদের জন্ম হয়েছে। এই পরিমাণ মানুষকে দিনের পর দিন দেশে রাখা সম্ভব নয়। কীভাবে তাদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা যায়, তা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি মিয়ানমার সীমান্ত নিয়ে ভারতও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে দুই দেশই এই নিয়ে আলোচনা করেছে। আলোচনা হয়েছে সীমান্তবর্তী সুরক্ষা নিয়েও।
হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, ভারত বাংলাদেশের বিশ্বস্ত প্রতিবেশী। সে কারণেই ভারতের ডাকে সারা দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রথম ভারত সফরে এসেছেন তিনি। রোহিঙ্গা ছাড়াও সীমান্তবর্তী বিষয়, সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়, বিদ্যুৎ, বাণিজ্য নিয়ে জয়শংকরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তার। তার বক্তব্য, গত ১০-১২ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এক উচ্চতায় পৌঁছেছে। দুই দেশের বাণিজ্য যোগাযোগ অন্য মাত্রায় পৌঁছেছে। বিষয়টিকে আরো উন্নত করার লক্ষ্যে এদিন আলোচনা হয়েছে।আগামী মার্চ মাস থেকে রমজান মাস শুরু হবে। তার আগে ভারত থেকে ১.৫ লাখ টন পেঁয়াজ এবং চিনির আমদানি হবে বলে জানিয়েছেন হাসান মাহমুদ। এবিষয়েও তার জয়শংকরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এরপর ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মমুর্র সঙ্গেও দেখা করেন হাছান মাহমুদের। বুধবার তিনি দিল্লির জাতীয় প্রেস ক্লাবেও গেছিলেন। সেখানে বঙ্গবন্ধুর ছবিতে পুষ্প মালা অর্পন করেন।
#বাংলাদেশ - ভারত সম্পর্ক #বাংলাদেশ - ভারত মৈত্রী